মেকআপের দুনিয়ায় প্রাপ্তবয়স্ক হতে চাইলে আপনার মালিকানায় থাকা চাই মেকআপ অ্যাপ্লিকেটরের একটি সম্পূর্ণ সম্ভার আর সে সব ব্রাশের প্রতিটির যথাযথ ব্যবহার বিষয়ে পুরোপুরি ওয়াকিবহালও থাকা চাই। কিন্তু যদি আপনি সেইসব আনাড়ি আর অপটুদের একজন হন যাঁরা বুঝে উঠতেই পারেন না, তাঁদের কোনও ব্রাশেরই আদৌ কোনও দরকার আছে কিনা, তা হলে জানবেন আপনি একা নন! এত রকমের মেকআপ ব্রাশ আছে, আর এক এক রকমের ব্রাশের এমন আলাদা আলাদা ব্যবহার যে সব কিছু ঠিকঠাক মনে রাখা আর আপনার নিজের জন্য ঠিক কোন কোন মেকআপ ব্রাশ প্রয়োজন, তা জানা মোটেই তেমন সহজ কাজ নয়! বিশ্বাস করুন, আমরা আপনার অসুবিধা বুঝি!
আপনাকে এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে মুক্তি দিতে আমরা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি একটি নির্ভুল নির্দেশনামা, যেটি আপনাকে সাহায্য করবে কোন ব্রাশ ঠিক কোন মেকআপ প্রোডাক্টের পক্ষে উপযোগী, তা জানতে। এখানে সেই সব ব্রাশের কথা বলা হচ্ছে, আপনার সাজগোজের বাক্সে যেগুলি থাকা অত্যন্ত জরুরি।
ফ্ল্যাট ফাউন্ডেশন ব্রাশ

একটি ফ্ল্যাট ফাউন্ডেশন ব্রাশকে আপনার সংগ্রহের সেরা অ্যাপ্লিকেটর বলা যেতে পারে। এটির মুল কাজ হল আপনার ত্বকে মসৃণ আর সুষমভাবে কোনও বাড়তি দাগ না ধরিয়ে ফাউন্ডেশনটি লাগানো। এই ব্রাশটি ক্রিম বা তরল ফাউন্ডেশনকে একেবারে সমান আর মসৃণ দক্ষতায় ব্লেন্ড করে নিয়ে মুখে লাগানোর পক্ষে আদর্শ আর এটি ঠিকঠাক ব্যবহার করলে ফাউন্ডেশন কেকের মতো আস্তরণযুক্ত বলেও মনে হয় না।
কাবুকি ব্রাশ

কাবুকি ব্রাশের ব্যবহার বহুমুখী। এটি মুখের অপেক্ষাকৃত ছড়ানো জায়গাগুলিতে পাউডার মেকআপ লাগাতে সহায়তা করে। এটির ছড়ানো মাথা, অত্যন্ত মোলায়েম আর অনেকখানি আয়তন জুড়ে রোঁয়া। তাই পাউডার ফাউন্ডেশন, পাউডার ব্লাশ বা এমনকী ব্রোঞ্জারও সুষমভাবে লাগানো আর ব্লেন্ড করার জন্য সেরা নির্বাচন।
কনট্যুর ব্রাশ

কনট্যুর ব্রাশের সাধারণত মাথার দিক কোণকাটা, রোঁয়াগুলি নরম আর ঘন। ভালো কনট্যুর ব্রাশে সাধারণভাবে ঘন রোঁয়া থাকে বটে, কিন্তু একইসঙ্গে এটি অত্যন্ত নমনীয়, যাতে ব্যবহারের সময়ে মুখে লম্বা লম্বা দাগ না পড়ে। এই কৌণিক ব্রাশটি চমৎকারভাবে বসে যায় আপনার গালের উঁচু হাড়ের নিচে, যাতে আপনি সহজেই নিজের পছন্দসই মেকআপ করতে পারেন। এই ধরনের কনট্যুর ব্রাশ ক্রিম আর পাউডার, এই দু’ ধরনের কনট্যুরিং মেকআপের সঙ্গে সত্যিই চমৎকারভাবে কাজ করে।
ব্লাশ ব্রাশ

ব্লাশ ব্রাশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, এটি মাপে পাউডার ব্রাশের চেয়ে ছোট, আকৃতি গম্বুজের মতো আর রোঁয়াগুলি লম্বা আর অত্যন্ত কোমল। আর পার্থক্য বলতে, সাধারণ পাউডার ব্রাশের তুলনায় এই ব্রাশটি ব্যবহারের সময়ে যদিও অনেক বেশি মনঃসংযোগ আর সূক্ষ্মতা প্রয়োজন, তবু ঠিকঠাক রং ব্লেন্ড করতে আর রঙের শেড নিয়ে আসতে এটি প্রচুর সাহায্য করে।
আইশ্যাডো ব্লেন্ডিং ব্রাশ

যদি মনে হয় যে আপনার আইশ্যাডোটি ঠিকঠাক দেখাচ্ছে না বা সমান মসৃণভাবে মেশেনি, তা হলে জানবেন যে আসল কারণ হল আপনি ব্লেন্ডিং ব্রাশ ব্যবহার করেননি। এই ব্রাশের লম্বা ফুরফুরে রোঁয়াগুলি চোখের পাতার উপরে আইশ্যাডো ব্লেন্ড করার সময়ে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। যে রং ব্যবহার করছেন, সেটির যথাযথ ব্লেন্ডিং, বাফিং আর ডিফিউজ়িং করে এটি স্থূল বা মোটা দাগের রেখা এঁকে ফেলার ঝামেলা থেকে আপনাকে বাঁচায়।
Written by Ishani Roychoudhuri on 20th May 2019